ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের স্বাস্থ্যসেবার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। বাংলাদেশে বেশ কিছু স্বনামধন্য ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যেমন স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস, বেক্সিমকো ফার্মা, ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, এবং রেনাটা লিমিটেড। এ প্রতিষ্ঠানগুলো স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ঔষধ সরবরাহ করে থাকে।
ঔষধ প্রস্তুতকারীদের কাজের ধাপগুলো সাধারণত নিম্নরূপ:
- গবেষণা ও উন্নয়ন (R&D): নতুন ঔষধ আবিষ্কার এবং উন্নয়নের জন্য গবেষণা পরিচালনা করা।
- উৎপাদন: ঔষধের মান নিশ্চিত করে উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা।
- মান নিয়ন্ত্রণ: প্রতিটি ঔষধের গুণগত মান পরীক্ষা করা।
- বাজারজাতকরণ: ঔষধ বাজারে সরবরাহ এবং প্রচারণা করা।
ঔষধ প্রস্তুতকারী কোন কোন মেশিন লাগে
ঔষধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ধরনের মেশিন ব্যবহার করা হয়, যা ঔষধের উৎপাদন, প্যাকেজিং এবং মান নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে। কিছু সাধারণ মেশিনের তালিকা হলো:
- মিক্সিং মেশিন: ঔষধের উপাদানগুলো সঠিকভাবে মিশ্রিত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- ট্যাবলেট প্রেস মেশিন: ট্যাবলেট তৈরির জন্য ব্যবহৃত হয়, যেখানে উপাদানগুলো নির্দিষ্ট আকারে চাপ দিয়ে তৈরি করা হয়।
- ক্যাপসুল ফিলিং মেশিন: ক্যাপসুলের মধ্যে ঔষধ ভরার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- লিকুইড ফিলিং মেশিন: তরল ঔষধ বোতলে ভরার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- প্যাকেজিং মেশিন: ঔষধের প্যাকেজিং এবং লেবেলিংয়ের জন্য ব্যবহৃত হয়।
- কোটিং মেশিন: ট্যাবলেটের উপর কোটিং করার জন্য ব্যবহৃত হয়, যা ঔষধের কার্যকারিতা এবং সংরক্ষণে সহায়ক।
- স্টেরিলাইজেশন মেশিন: ঔষধ এবং সরঞ্জাম জীবাণুমুক্ত করার জন্য ব্যবহৃত হয়।
- মান নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র: ঔষধের গুণগত মান পরীক্ষা করার জন্য বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র ব্যবহার করা হয়।
ঔষধ প্রস্তুতকারীতে আয় কেমন
ঔষধ প্রস্তুতকারী শিল্পে আয় অনেকটাই নির্ভর করে প্রতিষ্ঠানের আকার, উৎপাদন ক্ষমতা, এবং বাজারজাতকরণের দক্ষতার উপর। বাংলাদেশে ঔষধ শিল্প একটি অত্যন্ত লাভজনক খাত হিসেবে পরিচিত।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক:
- বাজারের আকার: বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ঔষধ বাজারের আকার প্রায় ১৩ হাজার কোটি টাকা এবং আন্তর্জাতিক বাজারে ৬৫০ কোটি টাকারও বেশি.
- রপ্তানি আয়: বাংলাদেশ থেকে প্রতি বছর প্রায় ১২৯.৯৫ মিলিয়ন ডলার ঔষধ রপ্তানি করা হয়.
- প্রতিষ্ঠানের আয়: বড় প্রতিষ্ঠান যেমন স্কয়ার, বেক্সিমকো, এবং ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস বছরে কয়েকশ কোটি টাকা আয় করে থাকে.
এই শিল্পে সঠিক পরিকল্পনা এবং মান নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আয় আরও বাড়ানো সম্ভব।