আয়ের আনেক মাধ্যম আছে কিন্তু হালাল উপার্জন করতে পারবেন এক মাত্র বৈধ উপায়ে।
যেখানে কোন প্রকার ছল চাতুরী থাকবেনা।
হালাল উপার্জন হলো এমন উপার্জন যা ইসলামের নির্ধারিত নীতিমালার মধ্যে থেকে অর্জিত হয়। এটি এমন অর্থ বা সম্পদ যা ইসলাম অনুমোদিত উপায়ে উপার্জিত হয় এবং কোনো হারাম (নিষিদ্ধ) পন্থা বা উপাদানের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়।
📌 হালাল উপার্জনের বৈশিষ্ট্যসমূহ:
- শরিয়তসম্মত পন্থা: উপার্জনের মাধ্যমটি হতে হবে ইসলাম অনুমোদিত (যেমন ব্যবসা, চাকরি, কৃষি, শিল্প ইত্যাদি)।
- হারাম কার্য থেকে মুক্ত: সুদ, জুয়া, মদ, ঘুষ, চুরি, প্রতারণা ইত্যাদির মাধ্যমে অর্জিত অর্থ হালাল নয়।
- ন্যায়নিষ্ঠতা: লেনদেন হতে হবে সঠিক ও স্বচ্ছভাবে। ঠকানো, মাপে কম দেওয়া, মিথ্যা বলা ইত্যাদি থাকলে তা হালাল নয়।
- পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা: হালাল উপার্জন সাধারণত পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সততার মাধ্যমে আসে।
- কারো হক নষ্ট না করা: অন্যের অধিকার হরণ করে উপার্জন করা সম্পদ কখনো হালাল হয় না।
❌ হালাল উপার্জনের বিপরীত: হারাম উপার্জন
যেমন:
- সুদভিত্তিক লেনদেন (রিবা)
- চুরি, ডাকাতি, প্রতারণা
- মাদক ব্যবসা
- ঘুষ নেওয়া বা দেওয়া
- জুয়া বা বাজির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন
🕋 কোরআন ও হাদীসে হালাল উপার্জন সম্পর্কে:
- আল্লাহ তাআলা বলেন:
“হে মানুষ! তোমরা যেসব বস্তু পৃথিবীতে রয়েছে তা হালাল ও পবিত্রভাবে খাও।”
— (সূরা বাকারা, ২:১৬৮) - রাসূল (সাঃ) বলেছেন:
“সৎ উপার্জন করা ফরজ ইবাদতের পর অন্যতম ফরজ।”
— (আল-বায়হাকী)
✅ উপসংহার:
হালাল উপার্জন কেবল দুনিয়াবী শান্তির জন্যই নয়, বরং আখিরাতের নাজাতের জন্যও অপরিহার্য। তাই প্রতিটি মুসলমানের উচিত হালাল পথে উপার্জনের চেষ্টা করা এবং হারাম থেকে দূরে থাকা।
মনির হোসেন
আমাকে ফলো করুন 👉






























